ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ! সেই আনন্দ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সাথে ভাগাভাগি করতে গ্রামে ছুটছে মানুষ।  

ঘরমুখো মানুষের চাপে সাভারের লোকাল পরিবহনগুলো আগেই রিজার্ভ হয়ে গেছে। তাই সড়কে লোকাল বাসে ছোট দূরত্বের যাত্রীদের নেওয়া হচ্ছে না। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিকশা ও ভ্যানের ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বাসে উঠতে না পেরে ঘরমুখো মানুষেরা তিনগুণ ভাড়া দিয়ে রিকশা বা ভ্যানে করে বাস স্ট্যান্ডে রওনা হয়েছেন।

ভ্যানে করে বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন এসকে সুলতান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কে তো এখন সব দূরপাল্লার বাস। লোকাল বাসও দূর পাল্লার বাস হয়েছে। আমাদের তাদের গাড়িতে উঠতেই দেয় না। ভ্যান, রিকশার ভাড়াও কয়েকগুণ বেশি। আমি জামগড়া থেকে ৩০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা দিয়ে বাইপাইল যাচ্ছি।  ভ্যানে যাচ্ছি বলে ১০০ টাকা, রিকশায় গেলে তো ২০০ টাকার নিচে যাওয়া যাবে না।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল থেকে শেরআলী মার্কেটে রিকশা যোগে যাচ্ছিলেন শান্ত। তিনি বলেন, বিশমাইল থেকে শেরআলী মার্কেটের ভাড়া ৩০ টাকা। আমার কাছে ১৫০ টাকা নিয়েছে। দেখছি সবাই খেয়াল-খুশি মতো ভাড়া নিচ্ছে। বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। 

রিকশাচালক আয়নাল বলেন, আমরা অন্য সময়ে তো এক টাকাও বেশি ভাড়া নেই না। অন্যসময় ৫ টাকাও তো কেউ বাড়িয়ে দেয় না। এখন ঈদ।  একটু তো বেশি ভাড়া নেবই। বেশি ভাড়া না নিলে আমরা ঈদ উদযাপন করবো কিভাবে। আমাদেরও তো পরিবার আছে।

সোলাইমান নামে আরেক রিকশাচালক বলেন, আমরা বাড়িতে না গিয়ে যাত্রীদের সেবা করছি। এতে একটু ভাড়া তো বেশি নেবোই। আমরা তো চাপ দিয়ে নিচ্ছি না যে দিতেই হবে। আমরা ভাড়া মিটিয়েই নিয়ে যাচ্ছি। ৫০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা তো আজ-কাল দুই দিনই নেবো। ৫০/১০০ টাকা দিলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। যার ইচ্ছা সে যাবে। যারা টাকা বড় মনে করবে তারা যাবে না।

এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুল রহমান বলেন, ভাড়া বেশি নেওয়ার কোনো অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মাহিদুল মাহিদ/এনএফ