দৌলতদিয়ায় বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, নেই ভোগান্তি
আর এক দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তাইতো সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে ও ফেরিতে পার হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করে। পদ্মা সেতু চালুর পর এবারই প্রথম মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছেন। তবে ঘাটে এসে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতেই উপচে পড়া ভিড়।ফেরিগুলোতে যানবাহনের তুলনায় যাত্রীদের সংখ্যায় বেশি। তবে এসব যাত্রীদের পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া আসতে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। পাটুরিয়াতে এসে তারা সরাসরি ফেরির দেখা পেয়েছেন। দৌলতদিয়া প্রান্তে এসেও এসব যাত্রীদের কোনো জ্যামে পড়তে হয়নি। তবে দৌলতদিয়া থেকে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে ভাড়া বেশি লাগছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১টি মধ্যে ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায় গিয়েছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার যানবাহন। তবে এর অর্ধেকই রয়েছে মোটরসাইকেল।
বিজ্ঞাপন
সুজন হাওলাদার নামে এক যাত্রী বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যশোরে যাচ্ছি গ্রামের বাড়িতে। ঢাকা থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত আসতে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে দৌলতদিয়াতে এসেছি। দৌলতদিয়াতেও কোনো জটলা নেই। তবে চালকরা ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছেন। তারপরও সবমিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রা অনেক স্বস্তির।
মোটরসাইকেল আরোহী আকরাম হোসেনের সঙ্গে কথা হয় দৌলতদিয়ার ৫ নং ফেরিঘাট এলাকায়। তিনি বলেন, পথে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। অনেক মোটরসাইকেলই তো আসছে, তাদের সাথে চলে এসেছি। মুভমেন্ট পাশ নিয়েছিলেন কিনা প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, এত অল্প সময়ে মুভমেন্ট পাশ নিব কীভাবে?
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছরগুলোর মতো এবার ঘাটে কোনো ভোগান্তি নেই। পদ্মা সেতুর সুফলও এই অঞ্চলের মানুষ পেতে শুরু করেছে। তবে ঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। ভোগান্তি ছাড়াই তারা নদী পার হতে পারছেন।
মীর সামসুজ্জামান/আরআই