খুলনায় পবিত্র ঈদুল আজহা যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ।

তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল ৮টায় প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে টাউন জামে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত বায়তুন নূর মসজিদে সকাল সোয়া ৮টা ও সোয়া ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

নগরীর ময়লাপোতা মোড় মসজিদে সকাল সোয়া ৭টা ও সোয়া ৮টায়, শেখপাড়া পুরাতন জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, বড় মির্জাপুর এলাকার ইউসুফিয়া জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ঈদের দিন সব সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে যথাযথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ও গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক (বাংলা ও আরবি) খচিত ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে।  

ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করছে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।

ঈদুল আজহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।

এদিকে খুলনায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম সংরক্ষিত থাকবে। মুসল্লিদের অজুর জন্য পানির ব্যবস্থাও রাখা হবে।

মোহাম্মদ মিলন/এসএসএইচ