রংপুরে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যে বিভাগীয় নগরী রংপুরে ঈদুল আজহার প্রধান ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। দোয়া-মোনাজাত শেষে চিরাচরিত কোলাকুলি আর করমর্দনে একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা। তবে করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি।
রোববার (১০ জুলাই) সকাল ৮টায় মুফতি কাওসার আহমেদের ইমামতিতে রংপুর কালেক্টরেট মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে ঈদের বিশেষ খুতবা শেষে দেশে শান্তি-সমৃদ্ধি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সম্প্রীতি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এতে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
নামাজ শুরুর আগে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু। এ সময় প্যানেল মেয়র পরিচ্ছন্ন রংপুর মহানগর গড়তে সবাইকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করাসহ সঠিকভাবে বর্জ্য সংরক্ষণের আহ্বান জানান। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় রংপুর পুলিশ লাইন্স মসজিদ মাঠে ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলার সবচেয়ে বড় ঈদজামাত হয়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার তালুক হাবু (৫৭ জামাত) ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে ২৫ হাজারের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন।
এ ছাড়া রংপুর নগরীর আশরাফিয়া জামে মসজিদ, মুসলিমপাড়া ঈদগাহ, কামারপাড়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায়, মুন্সিপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
এ ছাড়া রংপুর মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মহল্লাভিত্তিক মসজিদ ও বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ঈদজামাতে দোয়া মোনাজাতে মুসলমানদের ওপর দমন, নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ ও মুসলিম উম্মাহর হেফাজতে মহান আল্লাহর কাছে অশ্রুসিক্ত প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রংপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার প্রায় ৬ হাজার মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদজামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ৭৫টিসহ জেলার ১২০০ ঈদগাহ মাঠে ও পাড়ামহল্লার মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো মসজিদে ছিল একাধিক ঈদ জামাতের ব্যবস্থা।
এদিকে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে জেলার হাসপাতাল, এতিমখানা, কারাগার ও শিশু পরিবারগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই