সুনামগঞ্জে মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া (৫০)  নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলি ইউনিয়নের মোহাম্মদগঞ্জ গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে। 

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণের আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই আইনজীবী ও আদালত প্রাঙ্গণে থাকা লোকজনের সহায়তায় তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন- একই এলাকার ফয়েজ আহমদ, সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়া। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ একসঙ্গে চার ব্যক্তি আসেন। তিনজন মিলে খোকন মিয়াকে ধরে একজন ছুরি দিয়ে বুক বরাবর আঘাত করেন। এতে খোকন মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আদালত প্রাঙ্গণে থাকা লোকজন তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, আমি জুতা মেরামতের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখি চারজন মিলে একজনকে মারছে। হামলার শিকার ব্যক্তি মাটিতে পড়েন। এর মধ্যেই হামলাকারী একজন দৌড়ে আমার সামনে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে আমি তাকে জাপটে ধরি। আরও কয়েকজন আইনজীবী এসে সহায়তা করলে তাকে আটকাতে সক্ষম হই। একইভাবে বাকি দুইজনকে আটক করে লোকজন। একজন পালিয়ে যান। 

নিহতের চাচাতো ভাই মাশুক মিয়া বলেন,  জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফয়েজ, শেফুল ও সাহানের মধ্যে মামলা চলছে। এই মামলায় হাজিরা দিতে আজকে আদালতে আসেন তারা। কিন্তু মামলার হাজিরা শেষ করার পর আমার ভাই উকিলের মুহুরির সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে তাকে তারা খুন করে।

পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ সবচেয়ে নিরাপদ একটি এলাকা। এই এলাকায় এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আরেকজনকে আটক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এসপি/আরএআর