রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্

রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ বলেছেন, আমরা আর একেবারে গরিব নেই। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। আর মাত্র সাড়ে আঠার বছর পরই উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হব।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
 
জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ উপজেলার উপকারভোগী ভূমিহীন ও গৃহহীনদের হাতে জমির দলিলসহ গৃহের প্রতীকী চাবি তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার। 

চারঘাট উপজেলায় ৩৩টি পরিবারকে এ পর্যায়ে গৃহ প্রদান করা হয়। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এই ধাপে রাজশাহীর ১৭৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জমিসহ ঘর পেল।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ সারা দেশে ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দেন তা সময়মত পূরণ করেন উল্লেখ করে জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, সারা দেশে যে ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০টি উপজেলা রয়েছে রাজশাহী বিভাগে। আবার রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলাতেই সবচেয়ে বেশি ৩টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১০০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করব। আগামী বছরের ডিসেম্বরের আগেই সারা দেশ গৃহহীন মুক্ত হয়ে যাবে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারা দেশে একযোগে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পের অধীনে ২ শতাংশ খাস জমির বন্দোবস্ত করে উপকারভোগীদেরকে এসব গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। 

এসব গৃহের প্রতিটিতে রয়েছে দুটি বেড রুম, একটি কিচেন, একটি ইউটিলিটি রুম ও একটি টয়লেট। সেমিপাকা প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
  
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন-রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ফখরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই