পানিতে ভাসা সেই ঘরগুলো পরিদর্শন করলেন কক্সবাজারের ডিসি
‘নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর পানিতে ভাসছে’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় গত ২১ জুলাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন রাতে ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধিকে গালিগালাজ করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কায়সার খসরু। এ নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা হয়। আজ শনিবার পানিতে ভাসা ওই ঘরগুলো পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ। তিনি সেখানে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এসব পরিবারের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চান তিনি।
বিজ্ঞাপন
এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, সংবাদটি প্রকাশিত না হলে তাদের দুর্ভোগের কথা কেউ জানত না।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা পোস্টের কারণে আমাদের সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিনি ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বিজ্ঞাপন
এসময় টেকনাফের ইউএনও কায়সার খসরু এবং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আসলেই জায়গাটি একটু নিচু এলাকায় পড়েছে। জোয়ার-ভাটা ও বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় উপকারভোগীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।’
এর আগে গত ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার টেকনাফের হ্নীলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়া নিয়ে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেটি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু। ওইদিন রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তার অফিসিয়াল নম্বর থেকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার প্রতিনিধি সাইদুল ফরহাদকে। গালিগালাজের অডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সাংবাদিক সমাজ ইউএনও কায়সার খসরুর শাস্তি দাবি করে।
এরপর শুক্রবার টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরু ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ।
ফরহাদ/এমএএস/জেএস