এখন আমাগো কে দেখবে, কে খাওয়াবে
‘আমার বাবারে বিদ্যুতে কেড়ে নিল, আমার বাবা ছাড়া আমাগোর আর কেউ নাই। এখন আমাগো কে দেখবে? কে খাওয়াবে?’
এভাবেই বিলাপ (কান্না) করছিলেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের চককাউরিয়া গ্রামের শহিজল ডালির (৬০) মেয়ে মরিয়ম খাতুন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীবরদী উপজেলার চককাউরিয়া গ্রামে নিজ ঘরে বৈদ্যুতিক পাখার সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ডালির মৃত্যু হয়। ডালি ওই গ্রামের মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে।
মরিয়মের বাবা ডালি সংসারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি ছিলেন। তার পাঁচ মেয়ের মধ্যে বিয়ে হয়েছে একজনের। তার এই মৃত্যুতে চার মেয়ে ও স্ত্রী এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, শনিবার ডালি তার নিজের ঘরে বৈদ্যুতিক পাখার সংযোগ দিতে যান। এ সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল নাইম ডালিয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ডালি মারা গেছেন।
এদিকে শনিবার দুপুরে উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের শিমুলকুচি গ্রামের খোকন মিয়া নামে অপর এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কাজ শেষে পার্শ্ববর্তী পুকুরে পা ধুতে যান তিনি। সেখানে পড়ে থাকা বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তারে জড়িয়ে মারা যান তিনি।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে বলেন, দুটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এনএ