খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ আমাদের ঐতিহ্যবাহী শ্লোগান ছিল। সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি করে জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতাম। কিন্তু এই সেক্টরের কিছু লোকের লোভের কারণে বিদেশে আমাদের সুনাম নষ্ট হয়েছে। চিংড়িতে অপদ্রব্য প্রয়োগের ফলে রপ্তানি হওয়া মাছ অনেকবার দেশে ফেরত এসেছে। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সুন্দরবনের নদী-খালে অবৈধভাবে বিষ দিয়ে মাছ ধরা যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রোববার (২৪ জুলাই) খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

আলোচনা সভায় কেসিসি মেয়র বলেন, সরকার ৫৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৬টি খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। মৎস্য সপ্তাহ পালনকালে মানুষকে মাছচাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে চিংড়ি মাছ চাষ করতে হবে। চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রজাতির ভেনামি চিংড়ির চাষ পরিকল্পনা সফল হবে বলে আশা করা যায়।

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. তোফাজউদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি এস হুমায়ুন কবির। স্বাগত জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন খুলনা ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, সফল চিংড়ি চাষি প্রফুল্ল কুমার রায় প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ১৫ জন সফল মৎস্য চাষি, চিংড়ি চাষি, মৎস্য উদ্যোক্তা ও শ্রেষ্ঠ মৎস্যজীবী সংগঠনের মাঝে সিটি মেয়র সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ করেন।

এর আগে মেয়র নগরীর শহীদ হাদিস পার্কের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং হাদিস পার্ক থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন। র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মোহাম্মদ মিলন/আরআই