লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রোকনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ চার বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছেন ঠিকাদার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে টেন্ডার হলেও ১২টি পিলারেই আটকে আছে নির্মাণকাজ।

এদিকে বিদ্যালয়টিতে দোতলা একটি ভবন ও একটি টিনশেড শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার তাতে নির্মাণসামগ্রী রেখে টিনশেড শ্রেণিকক্ষটি দখল করে রেখেছেন। এতে ভবনের অভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি অবস্থায় পাঠদান করতে হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জেলা শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে বিদ্যালয়ের একটি একতলা ভবনের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তখন লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠন হাফিজ অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আহছানুল করিম শিপন কাজটি পান। 

পরে তিনি কাজটি কমিশনে রোকনপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইব্রাহিমের কাছে বিক্রি করে দেন। কয়েক দিন কাজ করে ১২টি শর্ট কলাম করেন ইব্রাহিম। মাটির নিচে কলাম করলেও ওপরে রডগুলো খোলা অবস্থায় থেকে মরিচা ধরে পড়েছে এখন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আমরা একটি একতলা ভবনের বরাদ্দ পেয়েছি। কিন্তু ঠিকাদার কাজ না করে চার বছর ধরে পালিয়ে রয়েছেন। উল্টো তিনি আমাদের টিনশেড কক্ষটিও দখল করে রেখেছেন। নির্মাণকাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে একাধিকবার লক্ষ্মীপুর জেলা শিক্ষা প্রকৌশলের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, আমরা তদবির করে ভবনটির অনুমোদন পেয়েছি। এখন কাজ বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ঠিকাদার কী কারণে কাজ বন্ধ রেখেছেন, তা-ও জানা নেই।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাফিজ অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আহছানুল করিম শিপন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ জানায়নি। দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য বলে দেওয়া হবে। মন্তব্য জানতে মো. ইব্রাহিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, আর্থিক সংকটের কারণে ঠিকাদার কাজটি বন্ধ রেখেছে। দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ