যুগ যুগ ধরে নদী ভাঙনের শিকার চরকাউয়াবাসীর দুঃখের অবসান হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কীর্তনখোলার নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রাথমিক প্রকল্প শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, চরকাউয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খালের ওপারে নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। সেখানে দশ হাজার বস্তা ব্যাগ ফেলে এই মৌসুমের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অধিকাংশ ব্যাগ ভাঙন কবলিত এলাকায় ফেলা হয়েছে। বাকি যা রয়েছে সেগুলোও শিগগিরই ফেলানো হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া ওই এলাকার নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। পাস হলেই কাজ শুরু হবে।

চরকাউয়ার নদী ভাঙন এলাকার বাসিন্দা আনসার দালাল বলেন, খালের ওপারে নদী ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ীভাবে ব্লক ফেলে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের এখানে যুগের পর যুগ ধরে একটি বস্তাও কেউ ফেলেনি। তবে আপনি (প্রতিবেদক) আগেরবার এসে নিউজ নিয়ে যাওয়ার পর দেখছি বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে নদীতে। আমাদের ঘরের চারপাশেও বালুর বস্তা রাখা আছে। আপনার নিউজ দেখি নাই, তবে নদী ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু হয়েছে সেটা দেখছি।

আরেক বাসিন্দা নূরজাহান বেগম বলেন, এর আগে এখানে কেউ একটা বালির বস্তা ফেলেনি। আপনারা আসার পর দেখছি তাড়াতাড়ি করে এসে বস্তা ফেলানো হচ্ছে। ঠিকাদার বলেছে, সামনের মৌসুমে ব্লক দিয়ে বেড়িবাঁধ করে দেবে। তখন আর আমাদের দুঃখ থাকবে না। তিনি বলেন, এখন আমরা নিশ্চিন্ত এবার বড় কোনো ভাঙন হবে না।

প্রসঙ্গত, বিগত ৩০ জুন ‘পানিসম্পদ মন্ত্রী আমাদের এমপি, আমাদের জন্য তিনি কিছুই করেননি’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রচার হয়। এরপরই ভাঙন কবলিত স্থানে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। যদিও বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ গ্রহণের আগেই কমপক্ষে ৩০টি পরিবার নদী ভাঙনে বাস্তুচ্যুত হয়ে গেছেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস