লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মোকতার হোসেন বিপ্লবের বিরুদ্ধে মনির আহমেদ ভূঁইয়া নামে এক ব্যবসায়ীর ১৪ শতাংশ জমি জোর করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ করায় বিপ্লব তাকে হত্যার হুমকি দেন। এতে আতঙ্কে এক সপ্তাহ ধরে মনির পরিবার নিয়ে বাড়িছাড়া।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় একটি চায়নিজ রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে মনির এসব অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মনিরের মা নুরজাহান বেগম ও স্ত্রী মনি আক্তার।

মনির সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের সাফি উল্যাহ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ইট ব্যবসায়ী।

লিখিত বক্তব্যে মনির জানান, আলীপুর গ্রামে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের ডিভিশন জরিপের রায়ে তিনি আলীপুর ও শরীফপুর মৌজায় ১৪ শতাংশ জমির ওয়ারিশ ও খরিদ সূত্রে মালিক হন। এতে ২৫ জুলাই আদালত পূর্ব দখল করা মোকতার হোসেন বিপ্লব ও মীর মোতাহার হোসেনদের উচ্ছেদ করে তাকে জমি দখল বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ২৭ জুলাই রাতের অন্ধকারে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মোকতার হোসেন বিপ্লব লোকজন দিয়ে ওই জমি দখল করেন।

এতে বাধা দেওয়ায় বিপ্লব তাকে সপরিবার হত্যা ও লাশ গুমের হুমকি দেন। এরপর থেকে মনির তার মা-স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে এলাকাছাড়া রয়েছেন। একই ঘটনায় তিনি সদর মডেল থানার ২৬ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

মনির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আদালত আমার জমি আমাকে দখলে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের আইন অমান্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব আমার জমি জোর করে দখল করেছে। তার ভয়ে এক সপ্তাহ ধরে সপরিবার আমি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

অভিযোগ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোকতার হোসেন বিপ্লব বলেন, আদালত কোনো নোটিশ না করে আমার ভাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে দিয়েছেন। তবে মনিরকে কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। কেন তিনি বাড়িছাড়া, তা আমি জানি না। আমি জমি দখল করিনি।

লক্ষ্মীপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজির মনির আহমেদ বলেন, মনির ভূঁইয়া আদালতের রায় পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশনায় দখল করা ব্যক্তিদের স্থাপনা উচ্ছেদ করে তাকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, জিডির ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু আদালত মনিরকে জমি দখলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেহেতু তিনি আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। আদালতে নির্দেশনা পেলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ