বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়েছে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য এ দেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার পর সেই আলোকে পবিত্র সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে একদিকে যেমন গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, অন্যদিকে দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে নওগাঁর কালিতলা এলাকায় শ্রী শ্রী বুড়া কালিমাতা মণ্ডপ প্রাঙ্গনে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে জেলা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই এখনও দেশে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারছেন। তিনি আছেন বলেই এখনও দেশের সর্বত্র খোলা জায়গায় সারা দেশে দূর্গা উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে। কিন্তু এক সময় এমন অবস্থা ছিল না।
পুরোদেশে চরম উগ্রবাদ, বাংলাভাই জেএমবির মতো উগ্র সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি হয়েছিল। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেমন কংসদের হত্যা করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তেমন করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব উগ্রবাদ এবং বাংলা ভাইদের কঠোর হাতে দমন করে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী গুজব রটিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সুতরাং সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে দেশের মানুষকে ওই সব কুচক্রী মহল থেকে সচেতন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগ নওগাঁর উপ-পরিচালক উত্তম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মজুমদার গোপাল, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সহকারী পরিচালক সাথী মজুমদার, সেবাশ্রম সংঘের অধ্যক্ষ স্বামী দিগবিজয়ানন্দজী মহারাজ, কালিতলা পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি নিরোদ বরন সাহা চন্দন প্রমূখ।
আরআই