চা-শ্রমিক মিনা রাণী এসেছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চাবাগানের ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের মনের কথা বলব। এতেই আমরা খুশি। আমাদের মজুরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাড়াইছেন‌। আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনবেন। 

শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। 

এদিকে সব আয়োজন শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। এই ভিডিও কনফারেন্সকে ঘিরে অনেক আগ্ৰহে বসে আছেন চা-শ্রমিকরা।  

চা-শ্রমিক নাছিম আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আমাদের চাবাগানে আমন্ত্রণ জানাই। আপনি আমাদের বাগানে এসে ঘুরে যাবেন। এটাই দাবি আমাদের। 

বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করা চা-শ্রমিকদের সঙ্গে আজ (০৩ সেপ্টেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই লক্ষ্যে সিলেটে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন জেনে মৌলভীবাজারসহ সারা দেশের চা-শ্রমিকরা আনন্দিত। এই আনন্দঘন মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনে ব্যস্ত জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, অনুষ্ঠানকে ঘিরে ধল‌ই ক্লাব মাঠ ও আশপাশের এলাকায় দুই দিন ধরে পুলিশ অবস্থান নিয়ে কঠোর নজরদারিতে রেখেছে। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। এই কথা শোনার পর থেকেই শুধু কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল নয়, মৌলভীবাজার জেলার ৯২টি চাবাগানে আনন্দের বন্যা বইছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন সাড়া ঐতিহাসিক মনে করেন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। 

ওমর ফারুক নাঈম/এসপি