রাতের আঁধারে সরকারি গাছ কাটায় ঠাকুরগাঁওয়ে কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁও শহরের জাগরণী ক্লারের পুকুর পাড়ের একটি বড় মেহগনী গাছ রাতের আঁধারে কেটে ফেলার অভিযোগে পৌরসভার প্রকৌশলীর করা মামলায় ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
বুধবার বিকেলে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গত ৮ অক্টোবর শনিবার রাতে শহরের জাগরণী ক্লাব পুকুর পাড়ের একটি মেহগনী গাছ কেটে ফেলা হয়। রোববার এলাকাবাসী গাছটি দেখে থানায় খবর দেয়। গাছটির মালিকানা পৌরসভার। বন বিভাগ কেটে ফেলা গাছটি জব্দ করেছে। পরে পৌরসভার প্রকৌশলী নাজমুল হুদা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ বিকেলে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীকে সভাপতি করে গাছ কাটার বিষয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তদন্ত কমিটির প্রধান ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে ও ২ জন কাউন্সিলরসহ অফিসের আরও দুজন নিয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের একজন ইঞ্জিনিয়ার বাদী হয়ে থানায় এজাহার করেন। আমরাও বিষয়টি তদন্ত করছি।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও এজাহারের বাদী নাজমুল হুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পৌরসভার আওতাধীন গাছ কাটার ঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। সেখানে কারও নাম দেওয়া হয়নি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমিও জেনেছি।
এ বিষয়ে বন বিভাগের ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী বন সংরক্ষক সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, জমি ও গাছ আমাদের না হওয়ায় আমরা কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে জামিরুল এলাকার জমি দখল থেকে শুরু করে এমন কোনো অন্যায় কাজ নেই যা তিনি করেন না।
এম এ সামাদ/এমএএস