আমার কয়েক লাখ টাকার কাপড় শ্যাষ। একটা কিচ্ছু উদ্ধার করতে পারলাম না। এখন পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। চোখের সামনেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল, আমি একেবারে অচল হয়ে গেলাম। এখন সংসার চালাব কী করে? ভগবান কী হইল এসব। 

চোখে পানি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সত্যেন চন্দ্র রায়। ওই বাজারে কাপড়ের গোডাউন দোকান ছিল তার। রোববার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় সত্যেন চন্দ্র রায়ের কাপড়ের গোডাউন।

এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে ওই বাজারের ওয়েল্ডিং, মুদিদোকান, চা ও হোটেল, কম্পিউটার, মোবাইল, বস্ত্র, টেইলার্সসহ ১০টি দোকান পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া ৫৬ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সত্যেন রায়ের মতো সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আরও অনেক ব্যবসায়ী। 

মোল্লা হোটেলের মালিক আছির উদ্দিন কাল্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, হোটেলের চেয়ার টেবিল সব পুড়ে শেষ। এখন পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।

কসমেটিকস ব্যবসায়ী আইনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দোকানের সব কসমেটিকস পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল শেষ হয়ে গেছে। এই ক্ষতি পূরণ করব কিভাবে।

নীলফামারী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মিয়ারাজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ভোর ৬টা ৪০ এ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।

তিনি বলেন, ১৪ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

শরিফুল ইসলাম/এনএফ