গ্যাসের লাইন চালু, দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় গ্যাসের লাইন চালু থাকায় দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে পৌরসভার নারাঙ্গাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- রাশেদুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০), তাদের আড়াই বছরের ছেলে রিফাত হোসেন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮)। তাদের গ্রামের বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার রাইল্ল্যা গ্রামে।
বিজ্ঞাপন
গুরুতর অবস্থা ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন। আর ফারুককে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পারিবারিক, পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভার নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা (কসাই) করেন রাশেদুল ইসলাম। এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন তিনি। সোমবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন।
বিজ্ঞাপন
ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে রাশেদুল ও কর্মচারী ফারুক এবং অপর কক্ষে রাশেদুলের স্ত্রী ও শিশুসন্তান রিফাত ঘুমিয়ে পড়েন। এর আগে রান্নাঘরে তিতাস গ্যাসের লাইন চালু রাখা হয়। ভোর ৪টার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে ওঠে দোকানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন এবং কক্ষের ভেতরে বিকট গন্ধ অনুভব করেন। এ সময় রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার বশির আহমেদ বলেন, রাতে দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্যাসের লাইন চালু রাখা হয়েছিল। এ কারণে আগুন জ্বালানোর পরই বদ্ধ কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সোহেল হোসেন/এসপি