রাত পোহালেই রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এর আগে দুই দিনের রংপুর মটর মালিক সমিতির ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বাস বন্ধ থাকায় নীলফামারী থেকে ট্রেনে আসতেছেন নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রেলস্টেশনে জড়ো হয়ে ট্রেনে উঠেন। পরে পার্বতীপুর হয়ে রংপুর পৌঁছান তারা।

এছাড়াও রেলের কামরায় জায়গা না থাকায় বিকেলে তিতুমীর ট্রেন ও সন্ধ্যায় সীমান্ত ট্রেনে নেতা-কর্মীরা ঝুলে ও দাঁড়িয়ে রংপুর সমাবেশে যোগ দিতে রংপুরে আসছেন অনেকে। শনিবার বাধা আসতে পারে তাই আগেভাগেই রংপুরে এসেছেন তারা। 

নীলফামারী থেকে আসা যুবদল নেতা লোকমান হোসেন লাভলু বলেন, শনিবারের মহাসমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট থাকায় আমরা একদিন আগেই রংপুরে গিয়ে অবস্থান নিয়েছি। শনিবার রংপুরে ঢুকতে বাধা আসতে পারে তাই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সমাবেশের আসি।

ডোমার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান তুলু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, একদিন আগেই রংপুরের সমাবেশস্থলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা অবস্থান নিয়েছি। স্মরণকালের বৃহত্তম এই সমাবেশ বানচাল করার জন্যই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, তারপরও হাজার হাজার নেতা-কর্মী ট্রেনে ও পায়ে হেঁটে এই সমাবেশস্থলে এসেছেন।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন বলেন, ডোমার, ডিমলা ও নীলফামারীর কোনো বাস বা মাইক্রোবাস আমাদের কাছে ভাড়া দিচ্ছিল না। আমরা পরিবহন মালিক ও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের জানান, গাড়ি ভাড়া দেওয়া যাবে না উপরের চাপ রয়েছে। 

বিএনপি নেতা রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, শনিবারের সমাবেশ সফল করার লক্ষে আমরা একদিন আগেই রংপুর এসেছি। সরকার যতই বাধা দিক এই সমাবেশ হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণসমাবেশ। 

নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার বলেন, সমাবেশ ঘিরে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ উদ্দিপনার শেষ নাই। আমরা শতাধিক গাড়ির নিয়ে জেলা থেকে আসতে চেয়েছিলাম। তবে আওয়ামী লীগ সরকার বাহানা করে সমাবেশ বানচাল করতে এই ধর্মঘট দিয়েছে। তবে এই অঞ্চলের জিয়াপ্রেমী নেতা-কর্মীরা দুইদিন আগে থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে রংপুরে এসেছেন।

শরিফুল ইসলাম/এমএ