চলতি বাসে পাশে বসা যাত্রীর ওপর বমি করে লক্ষাধিক টাকা চুরি করে পালিয়েছে চোর। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে চলাচলরত মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এমন ঘটনা ওই পরিবহনে এর আগেও ঘটেছে। ভুক্তভোগীর ধারণা অভিনব কৌশলে টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যাওয়া ওই চক্রের সঙ্গে মৌমিতা পরিবহনের স্টাফদের যোগসাজশ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-সাভার-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচরকারী মৌমিতা পরিবহেনরে একটি গাড়িতে গত কার রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা-নারায়লণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লা খান সাহেব আলী স্টেডিয়ামের সামনে অভিনব কায়দায় চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটে।

চোরের খপ্পড়েপড়া ভুক্তভোগী সুমন রেজা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ-সস্তাপুরের নূর হোসেনের ছেলে। অভিনব কৌশলে চুরির ঘটনায় মায়ের চিকিৎসার জন্য ধার করা দেড় লাখ টাকা খোয়া যায় তার। পরে ঘটনার দিন রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন তিনি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সুমন বলেন, আমি মায়ের চিকিৎসার জন্য আমার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকার সাইন্সল্যাব থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে মৌমিতা পরিবহনের একটি গাড়িতে উঠি। গাড়িটি লিংক রোডের স্টেডিয়ামের কাছাকাছি এলে আমার পাশে বসা অজ্ঞাত যাত্রী আমার প্যান্টের ওপর বমি করে দেয়। পরে বাসের হেলপার এসে দেখে আমাকে দাঁড়াতে বললে আমি দাঁড়িয়ে পড়ি। এসময় আমার পাশে বসা যাত্রী তার বমি পরিষ্কারের কথা বলে আমার ধার করা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও সঙ্গে থাকা আরও ১০ হাজার টাকাসহ মোট দেড় লাখ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়। আমি বিষয়টি বুঝে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সে চলতি বাস থেকে লাফিয়ে নেমে যায়।

তিনি বলেন, এসময় আমি চিৎকার করে তাকে ধরতে বলার পরেও তাকে ধরেনি বাসের হেলপার। পরে কিছুটা দূরে গাড়ি থামিয়ে আমাকে নামিয়ে দিয়ে বাসটি দ্রুত চলে যায়। আমার ধারণা এই অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনায় মৌমিতা পরিবহনের স্টাফদের যোগসাজশ থাকতে পারে। পরে থানায় গিয়ে ওই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে চলতি মাসের ৭ অক্টোবর একই স্থানে এবং মৌমিতা পরিবহনের আরেকটি বাসেও রনি নামে এক যাত্রীর ওপর বমি করে একই কৌশলে এক লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় চোর। পরে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মৌমিতা বাসের চালক ইমরান (২৯) ও চালকের সহকারী রতন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ।

এদিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরদির্শক (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গাড়িটি শনাক্ত করেছে। এছাড়াও চালক ও হেলপারের নাম পরিচয় জানা গেছে। ওই ঘটনায় চালক ও হেলপারকে আটকের চেষ্টা চলছে।

অবির শিকদার/এমএএস