পুলিশ সদস্য হত্যাচেষ্টা মামলায় কিশোর গ্যাং প্রধান গ্রেফতার
টুন্ডা আরিফ
পুলিশ সদস্য হত্যাচেষ্টা মামলায় সাভারের কিশোর গ্যাং প্রধান টুন্ডা আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সাভারের গেন্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ২ মার্চ রাতে সাভারের আনন্দপুরের বিমান বিল্ডিং জামে মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার ১০ জনকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। দুজনের ২ দিন ও বাকিদের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
আহত পুলিশ সদস্য হলেন— মোহাম্মদ রাব্বি হোসেন (২৫)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার মৃত রকিব মিয়ার ছেলে।
গ্রেফতার টুন্ডা আরিফ পৌরসভা গলির রফিকুল ইসলাম কচির ছেলে। তার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং পরিচালনাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। টুন্ডা আরিফ গ্রেফতারদের ডন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার ১০ জন হলেন— গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার সাব্বির হোসেন (২৫), চাঁদপুর জেলার হাইমচরের জহিরুল ইসলাম (৩৮), লাল মিয়া (২০), মোহাম্মদ আলী (২৮), আব্দুর রহিম বাবু, মোহাম্মদ রাসেদ (২৬), নজরুল ইসলাম খান (৩৮), আল-আমীন (৩০), কামাল হোসেন (৩৩) ও সুজন শিকদার (৪৩)।
তারা সাভারের আন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪ থেকে ৫ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, সাভার থানায় কর্মরত কনস্টেবল রাব্বি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আসামিরা ছুরিকাঘাত করেন। পরে অভিযান চালিয়ে রাতেই ১০ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে টুন্ডা আরিফকে গ্রেফতার করা হয়।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে টুন্ডা আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ মার্চ) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ইকবাল হোসেন নামের বাসের এক কন্ডাক্টরকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে চাঁদা দাবি করে আসামিরা। পরে এক পথচারী সরকারি হেল্পলাইন ‘৯৯৯’ এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্য রাব্বিকে ছুরিকাঘাত করেন তারা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন।
মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর