তাড়াশ থানা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। 

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার তালম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সোহরাব হোসেন (৫৫), ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. দিদার খাঁন (৪২), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাজিব আহম্মেদ মাসুম (৩৮), বারুহাস ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. মুক্তার হোসেন সরকার (৪৫) ও মাধাইনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ (৪০)। 

তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম টুটুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে, বিএনপির রাজশাহীর গণসমাবেশ নষ্ট করতে ও বিএনপির এই আন্দোলনকে থামানোর জন্য এইসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে ভয়ভীতি দেখাতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা বাদী হয়ে ওই গায়েবি মামলা দায়ের করেছেন। এটি সরকারের দমন-পীড়নের একটি কৌশলমাত্র। এছাড়াও পুলিশ সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হওয়া নেতাকর্মীদের রাস্তায় হয়রানি করছে। 

তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামিরা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তাড়াশ-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের লাউতা চার মাথা আকবর বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান। পরে তালম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জামেল হক মজনু বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তাড়াশ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করে। তবে তারা বিএনপির নেতাকর্মী কিনা সেটা বলতে পারব না। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরকে