‘এখন আর আমার ইস্কুলে যাইতে কষ্ট অইব না। আব্বা-আম্মাকেও কষ্ট করে কাঁধে নিতে হবে না।’ শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে একটি হুইল চেয়ার পাওয়ার পর ঢাকা পোস্টকে কথাগুলো বলছিল শিশু মরিয়ম (০৭)। সে সদর উপজেলার বীরবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

এর আগে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মরিয়ম বলে, আমি হাঁটতে পারি না। ইস্কুলে যাইতে অনেক কষ্ট হতো। মা আমাকে কাঁধে করে ইস্কুলে দিয়ে যাইত, আবার নিয়ে আসত। এখন আমি হুইল চেয়ারে করে নিজে নিজেই যাইতে পারমু। অহন আব্বা-আম্মার কষ্ট কম অইব।

মরিয়মের বাবা দুলাল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে খাই। আমার মেয়েটারে একটা সরকারি স্কুলে ভর্তি করেছি। সে হাঁটাচলা করতে পারে না। তারে নিয়া আমরা খুব কষ্টে ছিলাম। এমনিতেই আমার সংসার অল্প আয়ে চলে। আমার মেয়েকে আজ একটা হুইল চেয়ার দেওয়া হলো। তার কষ্ট এখন অনেক কমে গেল।

বীরবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু কালাম আজাদ বলেন, মেয়েটা আমাদের স্কুলে পড়ে। সে হাঁটতে পারে না। তাই তার মা-বাবা প্রতিদিন আমাদের স্কুলে দিয়ে যায়, আবার নিয়ে যায়। একটা হুইল চেয়ার পাওয়াতে তার কষ্ট এখন অনেক কমে গেল।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক এটিএম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে আরা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার ও সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন বক্তব্য দেন।

এসপি