প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে চলছে প্রস্তুতি

কক্সবাজারে উৎসবের আমেজ শহরের প্রতিটি প্রান্তে। কারণ বহুদিন পর আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ছয় বছর পর আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে আসবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন প্রথমে ইনানী বিচে নৌবাহিনীর একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় দুপুরে ভাষণ দেবেন। এজন্য সপ্তাহব্যাপী প্রস্তুতিমূলক কর্মযজ্ঞ চলছে কক্সবাজারে। 

প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে কক্সবাজার শহরের অলিগলি থেকে গ্রামের রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড আর তোরণে। চলছে মাইকিং। ভেন্যুসহ পুরো শহর সমাবেশস্থলে পরিণত করতে গত ৭ দিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, এই জনসভায় স্মরণকালের জনসমাগম ঘটবে। শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনা এখন কক্সবাজার জুড়ে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় কক্সবাজারে নেতারা জনসভার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন। এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন উপস্থিত ছিলেন। 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে ইতোমধ্যে প্রচারণামূলক নানা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে কক্সবাজারকে দুহাত ভরে দিয়েছেন। কক্সবাজার এখন চকচক করে। আরও উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে গেলে অপূর্ণতা কিছু থাকবে না। তাকে স্বাগত জানাতে সাত দিন ধরে এই কর্মযজ্ঞ চলছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারবাসীর মানুষের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুর ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনসভাকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা ইতোমধ্যে স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন। সমাবেশস্থল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরাও কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। কয়েক লাখ মানুষের অবস্থান নিশ্চিত করতে কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামের পশ্চিম একাংশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের মাঠ প্রশস্ত করার পাশাপাশি সমাবেশে আগত লোকজনের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বড় পর্দায় সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখার ব্যবস্থা করা হবে। আশা করছি, পাঁচ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগের ৫০ হাজার নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়। কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। জনসভাকে লোকে লোকারণ্য করতে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছেন ৷ 

সাইদুল ফরহাদ/আরকে