ঠাকুরগাঁওবাসীর চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল। ঠাকুরগাঁও ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়, নীলফামারী এবং দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার মানুষ চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন এখানে। তবে জরুরি প্রয়োজনে কাজে আসছে না হাসপাতালে থাকা একমাত্র নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) সুবিধাসংবলিত বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্সটি।

জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারত সরকারের দেওয়া আইসিইউ সুবিধাসংবলিত বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্সটি গ্রহণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো রোগী বহন না করে অ্যাম্বুলেন্সটিকে গ্যারেজে ফেলে রাখা হয়েছে। এদিকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীদের যেতে হয় বিভাগীয় শহর রংপুর অথবা রাজধানী ঢাকায়। জরুরি রোগী বহনের প্রয়োজনে আইসিইউ সুবিধাসংবলিত বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্সটি কাজে না আসায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের জেলা থেকে উপজেলাগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর কিংবা ঢাকায় যেতে হয়। সেজন্য যেসব রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হয় তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি অনেক বেশি জরুরি। অথচ নয় মাস পার হয়ে গেলেও একটি রোগীও বহন করেনি অ্যাম্বুলেন্সটি। এটি আমাদের জন্য হতাশার। আমরা চাই এটি রোগী বহনে ব্যবহার করা শুরু হোক।

বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও নিরাপদ সড়ক চাই-এর ঠাকুরগাঁওয়ের সভাপতি আবু মহিউদ্দিন বলেন, জরুরি রোগী বহনের জন্য আইসিইউ সুবিধাসংবলিত বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্সটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও অ্যাম্বুলেন্সটি রোগী বহন শুরু করেনি। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাম্বুলেন্সটি ফেলে রাখলে এর কর্মক্ষমতা হারাতে পারে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি রোগী বহনের কাজে উপযোগী করা উচিত।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে অ্যাম্বুলেন্সটি আমরা গ্রহণ করি। এখনো রোগী বহনের কাজ শুরু করা হয়নি। আমরা ভাড়া নির্ধারণের জন্য একবার বসেছি কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আরেকবার বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যে রোগী বহনে কাজ করবে অ্যাম্বুলেন্সটি।

এম এ সামাদ/এমজেইউ