কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশার হাতের আঙ্গুলের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

সোমবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. রাজীবুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।

মারুফা জাহান মাইশার হাতের আঙুলের অপারেশন করতে গিয়ে পেট অপারেশনে মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দাফনের ১২ দিন পর আদালতের আদেশে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামে পারিবারিক কবস্থান থেকে শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে মাইশার আগুনে পোড়া হাতের চিকিৎসা করাতে যায়। কিন্তু আঙ্গুলের অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাশ জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে তদন্ত কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।

শিশুটির পরিবারের দাবি, হাতের অস্ত্রোপচার করার সময় তাদের মেয়ের পেট কেন কাটা হয়েছে, তা তারা জানেন না। পরে এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পরে ৫ ডিসেম্বর মাইশার বাবা মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্রোপচার আয়োজনকারী চিকিৎসক ডা. আহসান হাবীব, অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম ও এনেসথেশিয়ার চিকিৎসক ডা. রনির নাম উল্লেখ করে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিরপুরের রূপনগর থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়। হাসপাতালটি নিবন্ধন ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিল বলেও জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জুয়েল রানা/এমএএস