বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,সরকার  চূড়ান্ত ব্যর্থ। মানুষের ভাত-কাপড়, নিরাপত্তা কোনো কিছুই দিতে পারেনি। প্রায় ১৪ বছর থেকে এ দেশের মানুষ ভোটাধিকার হারিয়েছে। গণতন্ত্র নেই, স্বাধীনতা নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই যেটির দাম তিন থেকে চার গুণ বাড়েনি।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম রাজার বাবা খোশাল মণ্ডলের মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব বলেন। 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন যে ভোট চোরদের মানুষ পছন্দ করে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন। তিনি কোন উদ্দেশ্যে কেন এ কথা বলেছেন আমি জানি না। তবে এ জন্য তাকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। তিনি সত্যতা স্বীকার করেছেন। আমি মনে করি নির্বাচনের পরিবেশ এ দেশে নেই। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন আমরা করব না, আগেই বলেছি। এই নির্বাচন কমিশন এক দলীয় প্রভাবমুক্ত না। আর কেয়ারটেকার ছাড়া এই দেশে কোনো ভালো নির্বাচন অতীতেও হয়নি, ভবিষ্যতে কেয়ারটেকার ছাড়া ভালো নির্বাচন হবে এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই দেশে যদি কোনো দল গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেটি বিএনপি পারবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের হারানো গণতন্ত্র, নিহত গণতন্ত্র, ধ্বংসপ্রাপ্ত গণতন্ত্রকে একমাত্র বিএনপি ফিরিয়ে আনবে। তার সম্ভাবনা আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি। ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে গণতন্ত্রের জন্য। 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, হাছান মাহমুদ (তথ্যমন্ত্রী) সাহেব, তিনি রাজনীতির ইতিহাস খুব বেশি ব্যাখ্যা করতে পারেন না। সাপের খোলস বদলের যে প্রসঙ্গ, তিনি তার অপব্যাখা করেছেন। প্রথমত বিএনপি এখন কোনো জোটে নেই। বিএনপি এককভাবে যুগপৎভাবে অন্যান্য দল ও জোটের সঙ্গে একই কর্মসূচির ভিত্তিতে আন্দোলন করছে। সাপের খোলস বদলের যে প্রসঙ্গ আছে আওয়ামী লীগ আছে। এক সময় ৮ দল ছিল। পরবর্তীতে ১০ দল হয়েছিল। এখন যেটাকে ১৪ দল বলা হচ্ছে। তারও আগে ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল। তাই সাপের খোলস বদলের প্রসঙ্গটা সম্ভবত বিএনপির ওপর  না চাপিয়ে যদি নিজের দিকে তাকাতেন তাহলে এটা স্পষ্ট হতো। তিনি ইতিহাসের অপব্যাখা করেছেন। 

আফজালুল হক/আরএআর