অটোরিকশাচালককে কোপাল নারী ছিনতাইকারী
হামিদা আক্তার
নরসিংদীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে কুপিয়েছে এক নারীসহ দুই ছিনতাইকারী। বুধবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার শীলমান্দী ইউনিয়নের নরসিংদী-মাধবদী সড়কের ৫ নম্বর ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
আটক নারী ছিনতাইকারীর নাম হামিদা আক্তার (২২)। তিনি মাধবদীর বালুসাইর এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। অন্যজন মাধবদীর আলগী এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে আল-আমিন (২২)। ভুক্তভোগী সগির মিয়া নরসিংদীর খিলগাঁও এলাকার মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার (১০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে মাধবদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশ থেকে সগির মিয়ার অটোরিকশা ভাড়া করে এক নারীসহ চারজন। তারা রোগী নিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশা ভাড়া নেয়। কিন্তু পাঁচ নম্বর ব্রিজের কাছে পৌঁছালে গাড়ি থামাতে বলে তাদের মধ্যে একজন।
নির্জন স্থানে সগির মিয়া গাড়ি থামাতে না চাইলে রোগী সেজে থাকা হামিদা সগিরের বা হাতে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। ছগিরকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে আরও দুইজন। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ সময় দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী নরসিংদীর দিকে আসার সময় রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় সগিরকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। ছগিরের মুখে ঘটনা শুনে তারা ছিনতাইকারীদের পিছু নেন।
বিজ্ঞাপন
ছিনতাইকারীরা নরসিংদীর নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে জনতার হাতে ধরা পড়ে। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়ে দুইজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তবে অন্য দুই সদস্য পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কথা হয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত আবদুল ওয়াহিদ নামে একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক মোটরসাইকেলে থাকা তিন আরোহী অটোরিকশার পেছনে চোর চোর বলে চিৎকার করছিল। পরে বাসস্ট্যান্ডে থাকা মানুষজন অটো থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় এক নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
নরসিংদী সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান জানান, রাতে যাত্রীবেশে সগিরের অটোরিকশায় উঠে ছিনতাইকারীরা। এ সময় ছিনতাইয়ে বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে বাম হাতে কুপিয়ে জখম করে তারা।
খবর পেয়ে চালককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এক নারীসহ দুইজনকে আটক করেছি আমরা। তাদের সঙ্গে থাকা রক্তাক্ত অবস্থায় একটি চাপাতি ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাকিবুল ইসলাম/এসপি