আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিতেন তিনি
সত্তরোর্ধ্ব বয়স্ক দম্পতি বিষু দে ও মালা রানী সরকার। পলিথিন আর বেড়ার তৈরি ছোট্ট একটি ঘরে রাত্রিযাপন করেন তারা। জীবনের শেষ সময়ে এসে একটু ভালোভাবে থাকার আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ দম্পতি। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অসহায় এই পরিবারের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ময়মনসিংহ সদরের জামান মিয়া নামে এক প্রতারক।
শুধু এই দম্পতিই নয়, ঘর পাওয়ার আশায় জামানের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছে ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের আরও ৪১টি দরিদ্র পরিবার। কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা প্রতারক জামান মিয়া অবশেষে ধরা পড়েছেন র্যাবের হাতে। রোববার রাতে (১ জানুয়ারি) সদরের বাড়ারপাড় এলাকায় অভিযান তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-অধিনায়ক মেজর শিশির মাহমুদ তালুকদার।
তিনি বলেন, আসামি জামান ছয় বছর আগে সদরের চুরখাই এলাকায় তদবির করে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সুমন নামে একজনকে সরকারি ঘর বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দেয়। ওই তদবিরের জন্য সুমনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায় করে জামান। এ ঘটনায় পর থেকে অসাধু উপায়ে টাকা আয়ের নেশা তৈরি হয় তার মধ্যে। পরবর্তীতে নিজ এলাকা ও আশেপাশের অনেকের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর ২০১৯ সালের শেষের দিকে নিজ এলাকা ছেড়ে ফুলবাড়িয়ার পুটিজানা ইউনিয়নের ভূমিহীন ও দুঃস্থদের প্রতারণার জন্য জন্য টার্গেট করে। হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সরলতার সুযোগে ৪২ জনের কাছ থেকে কয়েক ধাপে সাত হাজার টাকা করে আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যায় জামান।
বিজ্ঞাপন
শিশির মাহমুদ তালুকদার আরও জানান, বিষয়টি জানতে পেরে অভিযানে নামে র্যাব-১৪ সদস্যরা। রোববার রাতে সদরের বাড়ারপাড় এলাকা থেকে প্রতারক জামানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামতও উদ্ধার করা হয়।
উবায়দুল হক/আরকে