হাফসা ইসলাম

মায়ের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই চলে গেল মেয়ে হাফসা ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায় সে। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন তার চাচা শহিদুল ইসলাম।

গতকাল বুধবার (১০ মার্চ) হাফসার মা মেহেরুন্নেসা লিপি (৩৮) বেলা তিনটায় একই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তারা দুজনই একই হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন।

এর আগে ৫ মার্চ ফেনীতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা ও দুই মেয়ে দগ্ধ হন। ৬ মার্চ তাদের ভর্তি করা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তাদের মধ্যে মেহেরুন্নেসার শরীরের ৪৬ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। আর তার ছোট মেয়ে হাফসার শরীরের ২৭ শতাংশ পুড়ে যায়। এতে মেহেরুন্নেসা ও তার মেয়ে হাফসার শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল। তবে শঙ্কামুক্ত (৫ শতাংশ দগ্ধ) হওয়ায় বড় মেয়ে ফারহা ইসলামকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

মেহেরুন্নেসার স্বামী মাহবুবুল ইসলাম প্রবাসী। ফেনী সদরের এস এস কে রোডের একটি ছয়তলা বাসায় মা ও দুই মেয়ে ভাড়া থাকতেন। হাফসা ইসলাম স্থানীয় হলিক্রিসেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করছে। আর ফারাহ ইসলাম এবার উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন।

হাফসার চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, ৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে ওই বাসার গ্যাসের চুলা লিকেজ ছিল। সেখান থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। এ সময় মশা মারার জন্য ইলেকট্রিক ব্যাট চালু করতেই ব্যাটে স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মা ও দুই মেয়ে দগ্ধ হন।

হোসাইন আরমান/এনএ/এমএমজে