৭ দিন ধরে হাসপাতালের সামনে শুয়ে কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধ
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ব্রিজে শুয়ে কাতরাচ্ছেন অসুস্থ এক বৃদ্ধ
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ব্রিজে শুয়ে কাতরাচ্ছেন অসুস্থ এক বৃদ্ধ (৭০)। ৬-৭ দিন বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের ধারণা, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি হয়ত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তি হতে না পেরে হাসপাতালে প্রবেশের দ্বিতীয় ব্রিজের ওপর শুয়ে রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে ওই ব্যক্তি একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে হাসপাতালের ব্রিজের ওপর শুয়ে আছেন। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। এ সময় মশা ও মাছি তার শরীর কামরাচ্ছে। মশা ও মাছির হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি একটা চাদর গায়ে জড়িয়েছেন। তাতেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না।
বৃদ্ধের এমন চিত্র দেখে স্থানীয় সাংবাদিক কেএম মিঠু একটি ছবি তুলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ‘আমরা গোপালপুরবাসী’ নামে ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেন। এরপরই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বিজ্ঞাপন
গোপালপুর হাসপাতাল সংলগ্ন চায়ের দোকানদার ও ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের ব্রিজের ওপর বৃদ্ধটি মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। কোথা থেকে এসেছে তা জানা যায়নি।
স্থানীয় সাংবাদিক কেএম মিঠু ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাসপাতাল এলাকায় গেলে সেখানকার এক চা দোকানদার অসহায় ওই বৃদ্ধের কথা জানান। হাসপাতালের সামনের ব্রিজের ওপর গিয়ে দেখি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ওই বৃদ্ধ। মাছি ও মশা তাকে কামরাচ্ছে। তিনি একটি চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে আছেন। তবে তিনি কোনো কথা বলতে পারছেন না। অনেক চেষ্টা করেছি তার নাম ও পরিচয় জানতে। মনে হয় তিনি একজন প্রতিবন্ধী। চিকিৎসার জন্যই হয়ত হাসপাতালের সামনে এসেছে।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমার নজরে পড়েনি। ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হতে চেয়েছিল কিনা সেটার তথ্য সঠিক না। বৃদ্ধটি মূল গেটের পাশের আরেকটি গেটের ব্রিজের ওপর শুয়ে আছে এমন একটি ছবি ফেসবুকে দেখেছি। ওই গেটটি বন্ধ থাকে সব সময়। তারপরও বিষয়টি দেখব।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.পারভেজ মল্লিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের ইউএইচএফপিওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিজিৎ ঘোষ/এসপি