চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে তিনজনের করোনা শনাক্ত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়
করোনামুক্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (১০ মার্চ) রাতে তাদের করোনা শনাক্ত হয়।
সোমবার (০৮ মার্চ) সবশেষ রোগীর করোনা নেগেটিভ প্রতিবেদন আসার মধ্য দিয়ে জেলাটি করোনামুক্ত হয়। জেলার পাঁচ উপজেলায় করোনা রোগী নেই বলে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী আরও বলেছিলেন, গত দুদিনে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। নতুন করে কেউ যাতে আক্রান্ত না হয়, সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। আমরা আর করোনায় আক্রান্ত হতে চাই না। করোনামুক্ত থাকতে চাই। আমার জানা মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ দেশের প্রথম করোনামুক্ত জেলা।
এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই সিভিল সার্জন বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবার করোনামুক্ত থাকার পর বুধবার রাতে জেলায় নতুন করে আরও তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রাতে এই তিনজনের করোনা পজিটিভের খবর আসে। যেকোনো সময় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, জেলায় প্রতিদিন করোনার টিকা গ্রহণকারী ও টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার পর্যন্ত জেলার পাঁচ উপজেলায় অগ্রাধিকার প্রাপ্তরাসহ টিকা নিয়েছেন ২৭ হাজার ১০৯ জন। এদিন দুপুর পর্যন্ত জেলায় নিবন্ধন করেছেন ৩৫ হাজার ৪৭৩ জন। এ পর্যন্ত সদর উপজেলা ১১ হাজার ৯২৪, শিবগঞ্জে সাত হাজার ৭৮৬, গােমস্তাপুরে চার হাজার ১১১, নাচোলে এক হাজার ৫৬৮ ও ভােলাহাট উপজেলায় এক হাজার ৭২০ জন ব্যক্তি করোনার টিকা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলায় প্রথম চালানে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮২৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮১০ জন, যা ৯৮ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি। বাকি ১৪ জন মারা গেছেন। এছাড়া জেলা থেকে এখন পর্যন্ত সাত হাজার ১৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। সবার নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি জেলায় সর্বশেষ একজন শনাক্ত হওয়ার পর টানা ১৯ দিন জেলায় নতুন করে কেউ শনাক্ত হয়নি।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদিনের জন্য হলে প্রথম দেশের কোনো জেলা করোনামুক্ত হওয়া ভালো খবর। তবে যেকোনো সময় করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই অধিক হারে করোনার টিকা গ্রহণ ও টিকা গ্রহণে নিবন্ধন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম/এএম