বগুড়ার দুই আসনে হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
হলফনামায় দেওয়া তথ্যে বিভিন্ন গড়মিল থাকায় বগুড়ার দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাইয়ে ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে এই আদেশ দেন বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
বিএনপি দলীয় এমপিদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া বগুড়া ৪ ও ৬ দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাইয়ে মোট ২২ জনের মধ্যে বাদ পড়েছেন ১১ প্রার্থী। বাতিলদের মধ্যে বগুড়া ৪ আসনের পাঁচজন এবং ৬ আসনের ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে দুই আসনে বাদ পড়েছেন বহুল আলোচিত ইউটিবার আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম। বাতিলকৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই বিএনপি নেতাও।
বিজ্ঞাপন
রোববার দুপুরে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে এই আদেশ দেন বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হলফনামায় দেওয়া তথ্যে নানা রকম গড়মিল থাকায় প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রার্থীদের দেওয়া এক শতাংশ ভোটার তালিকা যাচাই করে একাধিক ব্যক্তির সমর্থন পাওয়া যায়নি। ৪ আসনের বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র গোলাম মোস্তফা, ইলিয়াস আলী, থানা বিএনপির নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, আব্দুর রশিদ ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম।
বিজ্ঞাপন
বগুড়া-৬ আসনে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সদর থানা বিএনপির সভাপতি সরকার বাদল, বহুল আলোচিত ঠিকাদার ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান আকন্দ, জেলা মোটর ম্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, হিরো আলম ও রাকিব হাসান।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলমের দুই আসনে ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়। একই রকম গড়মিল বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীদের তথ্যেও পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, প্রত্যেকের দাখিলকৃত তথ্যে গড়মিল থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে কারও আপত্তি থাকলে রোববার বিকেল ৪টার মধ্যে আপিল করতে হবে।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। পরদিন ১১ বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় পরে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী শূন্য হওয়া আসনগুলোয় নির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
আলমগীর হোসেন/আরকে