রাজধানীর পর এবার বগুড়ায় শুরু কার-বাইক বাজার
রাজধানী ঢাকার পর এবার বগুড়ায় প্রথমবারের মতো কার বাইক বাজার বসেছে। এ কে এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার সকালে শহরের বানানী সুলতানগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ফিতা ও বেলুন উড়িয়ে এ বাজারের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবদুর রশিদ।
কার-বাইক বাজার প্রতি শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আয়োজকরা। প্রতিটি গাড়ির কাগজপত্র বিআরটিএ অনলাইনে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বগুড়া কার বাইক বাজার আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাডোনিস বাবু তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বগুড়া জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি রেজাউল বারী ঈসা, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন, এ কে এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম খোকন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি আলী এখতিয়ার তালুকদার তাজু, নুরুন্নবী প্রামানিক প্রমুখ।
এ বাজারে প্রথম দিনে অর্ধশত কার, শতাধিক মোটরসাইকেল বাইক প্রদর্শনী হয়েছে। এ বাজারে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকার গাড়ি এবং ৪০ হাজার থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার মূল্যের মোটরসাইকেল বাইক প্রদর্শিত হয়েছে। প্রথম দিনে ক্রেতার উপস্থিতি তেমনটা ছিল না, তবে ধীরে ধীরে কার-বাইক বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়বে।
বিজ্ঞাপন
আগত ক্রেতা মিসেস আইরিন সুলতানা বলেন, বাজারে এসে কয়েকটি কার দেখলাম, ভালোই লাগল, আরও আসবে ভালো করে দেখে গাড়ি কিনব।
আরেক ক্রেতা আসিফ শাহরিয়ার আমিন বলেন, এখানে এসে বেশ কয়টি কার দেখলাম, আজকে দেখার জন্য এসেছি, আগামীতে আমি একটি কার কিনব। রাজধানীর বাইরে বগুড়ায় কার বাইক বাজার দেখে খুব ভালো লাগল। সবাইকে আসার আহ্বান রইল।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম খোকন জানান, গাড়ির ইঞ্জিন ক্রেতা বুঝে নেবেন। প্রতিটি গাড়ির কাগজপত্র বিআরটিএ অনলাইনে পরীক্ষা করে দেওয়া হবে। প্রতিটি কার প্রদর্শনী ফি ৩শ টাকা এবং বাইক ১৫০ টাকা করে।
বাজার আয়োজক চেয়ারম্যান এ্যাডোনিস বাবু তালুকদার জানান, দেশে রাজধানীর বাইরে বগুড়ায় প্রথম কার বাইক বাজার। এখানে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি। অনলাইনে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করে ক্রয় বিক্রয় হবে। এখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভালোভাবে গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে।
বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি আব্দুর রশিদ জানান, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মধ্যে বগুড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। বগুড়া উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার। এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক প্রসারিত, এখানে শিল্পনগরী রয়েছে। মানুষের যাতায়াত অনেক বেশি। একই জায়গায় দেখে শুনে কিনতে পারবে। এমন প্রত্যাশা ছিল। আজকে সেই আশা পূরণ হচ্ছে।
ব্যবসার মূল পূজি সুনাম। সেই সুনাম ধরে রাখতে সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। কার বাইক বাজার এসে কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা যেন প্রতারণার স্বীকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
আলমগীর হোসেন/আরকে