লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে হারুনুর রশিদ হারুন (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় তার স্ত্রী বৈশাখী বেগম ও শাশুড়ি খুকি বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। 

সন্ধ্যায় রায়পুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত হারুনের বোন জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার দুইজন এজাহার নামীয় আসামি। অপর আসামি মো. জুয়েল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। 

নিহত হারুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের নবীগঞ্জ এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় মাংস ব্যবসায়ী। 

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে হারুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে পার্শ্ববর্তী চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মনছুর আহম্মদের মেয়ে আমেনা আক্তার বৈশাখীর সঙ্গে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে আগে থেকেই বৈশাখীর অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এতে বিয়ের পর তিনি হারুনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে হারুন তার শ্বশুরবাড়িতে ছোট শ্যালিকা প্রিয়ার জন্মদিনের দাওয়াত খেতে যান। 

সেখানে ভায়রা জুয়েলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হয় তার। রাত ৩টার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদেরকে হারুনের মৃত্যুর সংবাদ দেন। হারুনকে তার ভায়রাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল। হারুনের কপালে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর