নিহত কাজী রফিকুল ইসলাম রনি (ফাইল ছবি)

মুন্সিগঞ্জের রামপাল শিকদার বাড়ি থেকে কাজী রফিকুল ইসলাম রনি (৩৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার লালপুর এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হন রনি। ৬ নভেম্বর তার পরিবার ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের ১ মাস ২০ দিন পর বুধবার রাতে সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহতের  মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজিয়া সুলতানা রুমা (৫১) নামে এক নারী ও তার কাজের মেয়ে আম্বিয়াকে (৩৫) আটক করেছেন পুলিশ।

নিহতের ছোট ভাই মো. জনি বলেন, আমার দূর সম্পর্কের খালা রুমার সঙ্গে শেয়ার বাজারের ব্যবসা ছিল রনির। শেয়ার বাজারে ব্যবসার টাকার জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ কল লিস্টের তালিকা দেখে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কাজী রফিকুল ইসলাম রনির সঙ্গে তার দূর সম্পর্কের খালা রুমা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। রুমার স্বামী জসিম উদ্দিন খন্দকার ঢাকার বাড্ডায় থাকেন। রনি প্রায় খালার বাড়ি যেতেন এবং সেখানে লুকিয়ে রাত যাপন করতেন।

এদিকে, রনির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। এতে বাধ সাধে রুমা। এজন্য তাকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখতেন রুমা। ঘটনার দিন গত ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক সবজি বিক্রেতা দেখে ফেলবে এই ভয়ে ঘরের ভেতর একটি কাপড় রাখার বাক্সে লুকায় রনি। এক পর্যায়ে বাক্সের লক লেগে যায়। দুই ঘণ্টা পর রুমা ট্রাঙ্ক খুলে দেখেন রনির মারা গেছেন। সারাদিন এবং রাত পার হওয়ার পর ভোরে রনির মরদেহ রুমা এবং তার কাজের মেয়ে আম্বিয়া মিলে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেয়।

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আশফাকুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিখোঁজ ডায়েরি তদন্তের এক পর্যায় জানা যায় নিখোঁজ রনি ৩ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের রামপালে তার খালা রুমার বাড়িতে এসেছিল। খালাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে রনির লাশ লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে সে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এসপি