‘আগুতে সীল মারে ভোট দিছু, আইজ মেশিনত দিনু, কুন্ঠে যে গেইল’
‘যেতদিন তো ভোট দিছু মুই সববারে কাগজত সীল মারে ভোট দিছু। আইজকা খালি মেশিনত টিপে দিনু আর ভোট বলে হয় গেল দেওয়া। আগুতে সীলডা দেখা পাছিনু এলা টিপে যে দিনু ভোট যে কুন্ঠে গেইল। কোন কিছু মুই কহিবা পারুনা। মেশিনডাত মার্কালা ভালোই দেখাছিল ফের।’
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে পীরগঞ্জ উপজেলার ৫৯নং ভোমরাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বের হয়ে এভাবেই বলছিলেন বৃদ্ধা জলেখা বেগম।
বিজ্ঞাপন
প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট দেওয়ার পর একই কেন্দ্রের ভোটার আশরাফুল আলম বলেন, এটিই ইভিএমে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়া। অনেক ভালো লাগলো। পছন্দের প্রার্থীকে মেশিনের সুইজ টিপে ভোট দিলাম। তবে সেটি এখন পছন্দের প্রার্থী পেল কি না তা বলতে পারছি না।
৫৯নং ভোমরাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এই ভোটকেন্দ্রে যত ভোটার রয়েছেন সবাই প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন। তাই ভোটারদের খানিকটা সমস্যা হচ্ছে। তবে যারা ভোট দিয়েছেন সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। তবে ভোটার উপস্থিতি একবারে কম। আর আজকে ঠান্ডাও বেশ অনুভব হচ্ছে। সময় বাড়লে ভোটার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করি।
বিজ্ঞাপন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- ১৪ দল মনোনীত ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (একতারা), জাকের পার্টির এমদাদুল হক (গোলাপ ফুল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাফি আল আসাদ (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপনির্বাচনটি সুষ্ঠু করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেইসঙ্গে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট উপহার দিতে আমরা প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, জেলার পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসন। যার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩১ জন।
এম এ সামাদ/এমজেইউ