ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার গোপালপুর-মৈনট নৌপথের চর ঝাউকান্দা এলাকার পদ্মা নদী থেকে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ও দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। 

উদ্ধারকৃতরা হলেন- ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শমসের মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের সুরমান শেখের ছেলে খোকন শেখ (৩৮) ও ফরিদপুর সদরের কাফুরা গ্রামের জয় গোপাল গোস্মামীর ছেলে বলরাম গোস্মামী (৩৩)। তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির। 

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে একটি স্পিডবোট মৈনট থেকে যাত্রী নিয়ে গোপালপুর ঘাটের দিকে আসছিল। গোপালপুর ঘাট থেকে একটি যাত্রীবিহীন স্পিডবোট মৈনট ঘাটের দিকে যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।

বুধবার উদ্ধার হওয়া দুটি মরদেহ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মোট পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। 

দুর্ঘটনার দিন রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সুকুমার হালদার (৬৫) নামে এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহ লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা শিশির হালদারের ছেলে। গত মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ডুবুরি দল দুর্ঘটনাকবলিত স্পিডবোটের যাত্রী ফরিদপুর সদরের হাট গোবিন্দপুর এলাকার কাশেম মৃধার ছেলে দাউদ মৃধা (৪৬) ও চরভদ্রাসনের গাজিরটেক ইউনিয়নের তেলিডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দ কুদ্দুস খন্দকারের ছেলে রানা খন্দকারের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির বলেন, স্পিডবোট দুর্ঘটনার সময় একজন নিহত হন। এছাড়া আরও পাঁচজন নিখোঁজ ছিলেন। ওই নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে মঙ্গলবার ও বুধবার চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি দাফন ও সৎকার করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনায় চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামে একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।

জহির হোসেন/আরএআর