আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা পৌরসভার দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিল শেখকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এ ঘটনায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের অফিসে পাল্টা হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। 

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে ও রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পৃথকভাবে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাবনা পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ এইচ এম আরেফিন রুবেল এবং ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহীন শেখের মধ্যে পাবনা মেডিকেল কলেজ ও মানসিক হাসপাতাল এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের মধ্যেই রোববার সকালে পাবনা মেডিকেল কলেজের সামনে শাহীন শেখের ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিল শেখকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। 

এই ঘটনায় রুবেলের লোকজনকে দায়ী করে শাহীনের লোকজন হেমায়েতপুরের বসতি এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্প ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাকুর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সমিতির অফিস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও নানা হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এ বিষয়ে ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহীন শেখ বলেন, কাউন্সিলর রুবেলের হুকুমে তার ভাই রোজের নেতৃত্বে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার পর ভাইকে নিয়ে আমি হাসপাতালে ব্যস্ত। মুক্তিযোদ্ধা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের অফিসে হামলার ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়। এটা ষড়যন্ত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। 

আর ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ এইচ এম আরেফিন রুবেল বলেন, শাহিনের ভাই শাকিল আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। তাকে কেন আমি মারতে যাব? শুনেছি পাশের বুদেরহাটে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে ঝামেলায় তাকে মারধর করা হয়েছে। কিন্তু কাউন্সিলর শাহীন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমার, আমার ভাই-ভাতিজাদের নামে মামলা দিয়েছে‌। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এমনকি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে। 

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, রোববার মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে‌। তবে সোমবারের ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাকিব হাসনাত/আরকে