নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, অনেকে নিজেকে নেতা মনে করেন, আমরা নিজেকে নেতা মনে করি না। নিজেকে বেড় নেতা ভাবেন, অথচ ডাকলে দশটা কর্মীও আসে না। নেতা ভাবলেই নেতা হয় না, যারা মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারে তারাই নেতা হয়। নেত্রী আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে বলেছিলেন, মন্ত্রী হতে বলেছিলেন। আমি হইনি, দেয়াল টপকে চলে এসেছি। রাজনীতি করতে আমাদের পদ-পদবি দরকার হয়নি। কারণ আমরা জানি রাজনীতি মানে সেবা, রাজনীতি মানে ইবাদত।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) নারায়ণগঞ্জের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সমাবেশ উপলক্ষে শহরের চাষাঢ়া রাইফেলস ক্লাবে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, আগে শত বছরে দুই একটা খন্দকার মোস্তাক সৃষ্টি হতো। এখন জেলায় জেলায় খন্দকার মোস্তাক সৃষ্টি হয়। শুধু নারায়ণগঞ্জেই না বরং সারাদেশেই খন্দকার মোস্তাকদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দল হওয়ায় অনেকেই এখন আমাদের সঙ্গে আসে। শুধু খাই খাই করে, আমাদের ওই সব খাই খাই পার্টির দরকার নাই। এখানে যারা দিতে আসবে, আমাদের তাদের দরকার। কারন আমরা দুর্বল না, আমাদের যেই শক্তি আছে তাই যথেষ্ট।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে এখন দেখতেছি পিপীলিকার পাখা গজিয়েছে। আমরা কাউকে গুনায় ধরে চলি না। মনে রাখবেন ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আপনারা যে অত্যাচার চালিয়েছেন, খুন-খারাপি করেছেন, যেভাবে আমাদের ওপর হামলা করেছেন, বাড়িঘরে ভাঙচুর করেছেন, যেভাবে আমাদের মা-বোনকে পিটিয়েছেন, যেভাবে বোবা প্রাণীর দুধের বান কেটেছেন, সেই সমস্ত শক্তির উদ্দেশ্যে বলতে চাই- রাজনীতি করেন কোনো আপত্তি নাই, জনগণ আপনাদের পক্ষে রায় দিলে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু কী করতে চাচ্ছেন? এই খবর যদি বাংলাদেশের দশজন রাখে, তবে তার মধ্যে শামীম ওসমান একজন।

শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। এ বায়তুল আমানে বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া লেখা হয়েছে। অনেকে স্বাধীনতার ঘোষক হতে চান। ওরা চায় নারায়ণগঞ্জ থেকে একটা ম্যাসেজ থ্রো করতে। যারা জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ করতে চায় তাদের রুখে দিতে ছাত্রলীগ যে প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে আমি তাদের চিন্তাধারায় মুগ্ধ।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের সন্তান সংগঠন। তাদের উৎসাহিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ ছাত্রলীগ বার বার রক্ত দিয়েছে। এরাই হাতে অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়েছে। আমরাও রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। ছাত্রলীগ নেতাদের বলবো- যাদের সামনে আনবেন সিএস, আরএস ও পর্চা দেখে আনবেন। আমরা দেওয়ার মতো লোক চাই। খাই খাই লোক চাই না।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল ও শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনুসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আবির শিকদার/আরএআর