সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টানা ৪৫ দিন জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করায় ১৪ কিশোরকে বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে। শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের (শ্যামনগর পৌরসভাধীন) খাগড়াদানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্যোগে এই উপহার দেওয়া হয়। 

খাগড়াদানা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবকের সহযোগিতায় নিয়মিত নামাজ আদায়কারী ১৪ কিশোরকে বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খাগড়াদানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে কিশোরদের হাতে উপহারের বাইসাইকেল হস্তান্তর করে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী। শিশু-কিশোরদের মুঠোফোনে আসক্তি কমিয়ে নামাজে আগ্রহী ও মসজিদমুখী করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয় বলে জানান আয়োজকরা।

বাইসাইকেল পুরস্কার পাওয়া কিশোর মো. ইব্রাহিম খলিল বলে, ৪৫ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় এখন মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। শুধু পুরস্কার পাওয়ার আশায় নয়, মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। জীবনের বাকি সময় যেন জামাতে নামাজ পড়তে পারি, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। 

এ সময় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো. আজিজুর রহমান আজিবর, মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মাস্টার আব্দুল লতিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াদানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইয়াসিন আলী জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ৪৫ দিন নামাজ আদায়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়। কর্মসূচিতে খাগড়াদানা গ্রামের ১৬ জন কিশোর-যুবক অংশ নেয়। এর মধ্যে টানা ৪৫ দিন (২২৫ ওয়াক্ত) তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ১৪ কিশোর। ২২৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী এসব কিশোরকে বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীদের আল্লাহ পুরস্কৃত করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যে যুবক শিশু-কিশোরদের নামাজে আগ্রহী করতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুধু খাগড়াদানা গ্রাম নয়, আশপাশের গ্রাম, শহরে এটা ছড়িয়ে যাক। তাতে কোমলমতি শিশু-কিশোরেরা মুঠোফোন ও অন্যান্য আসক্তি থেকে দূরে থাকবে। 

সোহাগ হোসেন/আরএআর