পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
আহত ব্যবসায়ী কামরুল হাসান মিন্টু
নাটোরে সিগন্যাল অমান্য করায় বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে কামরুল হাসান মিন্টু নামে ব্যবসায়ীর দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ( ১৬ মার্চ) বিকেলে শহরের হরিশপুর রহিমের পেট্রলপাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যবসায়ী কামরুল হাসান মিন্টুকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মিন্টু শহরের হরিশপুর কামারপাড়া এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি মাটির ব্যবসা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচার দাবিতে নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাটি ব্যবসায়ী মিন্টু মোটরসাইকেল যোগে শহরতলীর দত্তপাড়া এলাকা থেকে হরিশপুর যাচ্ছিলেন। এ সময় নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদি সেতুর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্য অনিক হাসান ব্যবসায়ী মিন্টুকে থামার জন্য সিগন্যাল দেন। কিন্তু মিন্টু না থেমে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে কিছু দূর গিয়ে মিন্টু মোটরসাইকেল থামিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে আসেন। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্য়ায়ে পুলিশ সদস্য অনিক হাসান তার কাছে থাকা বন্দুকের বাট দিয়ে মিন্টুর মুখে আঘাত করেন। এতে মিন্টুর দাঁত ভেঙে মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়। স্থানীয়রা পুলিশ সদস্য অনিক হাসানের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
মিন্টুর ভাই মিজানুর রহমান মিঠুন অভিযোগ করেন, খবর পাওয়ার পর তার ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের আলসান হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এশিয়া ডেন্টালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের বন্দুকের বাটের আঘাতে মিন্টুর পাঁচটি দাঁত ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় মিন্টুকে পুলিশ সদস্য সিগন্যাল দিলে তিনি অমান্য করে চলে যান। মোটরসাইকেলটি স্পিডে চলানোর সময় পড়ে গিয়ে তার ঠোঁট কেটে গেছে এবং দাঁতে আঘাত লেগেছে। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। পুলিশ সদস্য দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাপস কুমার/আরএআর