পর্নোগ্রাফি মামলায় পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার দুই
পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় রাশেদুল খান নামের এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ধানসুরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম সুমনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্য রাশেদুল রাজশাহী মেট্রোপলিটন (আরএমপি) এলাকায় এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর উপজেলার মাইনুদ্দিনের ছেলে ও সহযোগী সুমন একই জেলার ভোলাহাটের বাইশা পুকুর ময়াবাড়ির রবিউল ইসলাম রবুর ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম সুমনের পরিচয় হয়। গত ৫ মার্চ ওই শিক্ষক রাজশাহীতে এলে সুমন তাকে নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার একটি বাড়িতে ডেকে নেন। সেই বাড়িতে সুমন ভাড়া থাকতেন। পূর্ব পরিচয়ের কারণে ওই শিক্ষক সেখানে যান। বাড়িতে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন একজন নারী। এরপর জোর করে শিক্ষকের সঙ্গে ওই নারীর অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ভিডিও তুলে নেন সুমন ও পুলিশ সদস্য রাশেদুল খান। পরে ওই ছবি দেখিয়ে তারা শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। তাকে ফাঁসাতে সুমনকে সহযোগিতা করেন পুলিশ সদস্য রাশেদুল খান।
এ ঘটনায় গত ২০ মার্চ নগরের রাজপাড়া থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলায় পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল খান ও শহিদুল ইসলাম সুমনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েক জনকে আসামি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশন (মিডিয়া) রফিকুল আলম বলেন, মামলা হয়েছে ২০ মার্চ। শনিবার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শাহিনুল আশিক/আরকে