পাটের বদলে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে অধিক লাভের আশা করছেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের কৃষক হাদিস মিয়া। এরইমধ্যে তার সূর্যমুখী ক্ষেতে ফুল ফুটেছে। ফুলে ফুলে বসছে মৌমাছি।

গত বছরও জমিতে পাট চাষ করেছিলেন হাদিস মিয়া। তবে এ বছর অধিক লাভের আশায় চাষ করেছেন সূর্যমুখী ফুল। তার জমিতে সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন অসংখ্য সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কৃষক হাদিস মিয়ার সঙ্গে। এ সময় তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সাড়ে ১৭ শতাংশ জমিতে এ বছরই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি।

সূর্যমুখী চাষে পরিচর্যা ও খরচ খুবই কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার এইটুকু জমিতে সূর্যমুখী চাষে মাত্র ছয় হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এই জমির পরিচর্যা আমি নিজেই করছি। আগে এই জমিতে পাট চাষ করতাম। কিন্তু পাট চাষে অনেক বিড়ম্বনা। তাই এবার সূর্যমুখীর চাষ করেছি। আশা করছি, ভালোই লাভবান হব।

কৃষক হাদিস মিয়ার সূর্যমুখী চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় অন্য কৃষকরাও। কৃষক সাইফুল ইসলাম ও মোবারক হোসেনসহ এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, আগামী বছর থেকে তারাও সূর্যমুখীর চাষ করবেন।

এ বিষয়ে কৃষক মোবারক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের গ্রামের হাদিস মিয়ার সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেতটি খুবই চমৎকার হয়েছে। বর্তমানে বাজারে তেলের দাম বেশি থাকায় সূর্যমুখীর চাহিদাও রয়েছে বেশ। ফলে লাভবান হবেন তিনি। আগামী বছর থেকে আমিও সূর্যমুখীর চাষ করব বলে চিন্তা করছি।

এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলতি বছর কেন্দুয়ায় ২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষি অফিস সংশ্লিষ্ট কৃষকদের পরামর্শ প্রদানসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আমরা আশা করছি, সূর্যমুখী চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন।

জিয়াউর রহমান/এবিএস