মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন আলী বকস

সারা জীবন বিদ্যালয় আগলে রেখেছেন। জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় পার করেছেন বিদ্যালয়ের বারাদ্দায়। দারোয়ান হিসেবে চাকরি করেছেন দুই যুগ। আজ জীবন স্থবির তার; হাসপাতালের বিছানা আশ্রয়স্থল।

এভাবেই দিন কাটছে মৌলভীবাজারের দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুলের দারোয়ান আলী বকসের। শিক্ষার্থীদের কাছে ‘আলী ভাই’ নামে পরিচিত তিনি। জীবনের শেষ সময়ে এসে এক হাত এক পা অবশ হয়ে গেছে আলী ভাইয়ের। চলাফেরা করতে পারেন না; যেন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন আলী ভাই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুলে চাকরি নেন আলী বকস। চাকরি জীবনের দুই যুগ বিদ্যালয়কে নিজের বাড়ির মতো আগলে রেখেছেন তিনি।

এক হাত এক পা অবশ হয়ে গেছে আলী বকসের

 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা আলী বকস। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। স্ত্রী গৃহিণী। ১২ বছরের ছেলে পড়েন ষষ্ঠ শ্রেণিতে; ১৫ বছরের মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়েন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন আলী বকস। কিন্তু দুর্ভাগ্য। প্যারালাইজড হয়ে যান তিনি। এতে চলে যায় পরিবারের হাসি; বেড়ে যায় দুশ্চিন্তা। ২০ ডিসেম্বর স্ট্রোক করেন আলী বকস। এরপর এক হাত ও এক পা অবশ হয়ে যায়। বর্তমানে মৌলভীবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট হাসপাতালে যাওয়া প্রয়োজন তার। কিন্তু কিভাবে যাবেন, কিভাবে চিকিৎসার খরচ চালাবেন সে সামর্থ্য নেই তার। এসব ভেবে হাসপাতালের বিছানায় বসে কাঁদছেন আলী বকস।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন আলী বকস বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট যেতে বলেছেন চিকিৎসক। আমার সামর্থ্য নেই, চিকিৎসা খরচ চালানোর টাকা নেই। ব্রেইন স্ট্রোক করে এক হাত এক পা অবশ হয়ে গেছে। আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনুরোধ, এই বিপদের দিনে আমাকে সহযোগিতা করুন। আমি ও আমার স্ত্রী-সন্তান আপনাদের জন্য দোয়া করব।

আলী বকসের স্ত্রী ফাহমিদা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিকিৎসক শোয়েবকে দেখিয়েছি। তিনি রোগীকে সিলেট নিতে বলেছেন। কিন্তু তাকে সিলেট নেয়ার মতো টাকা নেই। আমরা সবার কাছে সহযোগিতা চাই। 

আলী বকসের চিকিৎসার খরচ কিংবা চিকিৎসা সহায়তা দিতে চাইলে এই (০১৭১৪২৯১৫১২) মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এএম