চলতি বছর পটুয়াখালীর বাউফলে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া, বৃষ্টি ও অজানা ভাইরাসের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির তরমুজ। এতে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পাঁচ শতাধিক কৃষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মোট তিন হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। শুরুর দিকে গাছের অবস্থা দেখে অধিক লাভের আশা করেছিলেন চাষিরা। ইতোমধ্যে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির আগাম জাতের তরমুজ বিক্রিও করেছেন তারা। এতে চাষিদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তিও দেখা যায়। কিন্তু অন্য জাতের তরমুজ এখনো পাকেনি।

সম্প্রতি কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির তরমুজ। এছাড়া অজানা এক ভাইরাস আক্রমণ করেছে রসালো এই ফলের গাছে। এতে গাছের পাতাগুলো প্রথমে লালচে এবং ধীরে ধীরে শুকিয়ে গাছ মরে যাচ্ছে। ফলে তরমুজ আর বড় হচ্ছে না। অজানা কারণেই তরমুজ ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। ওষুধ ছিটিয়েও সুফল পাচ্ছেন না চাষিরা। ফলে লোকসান এড়াতে কিছু চাষি তরমুজ ছোট থাকতেই বিক্রি করছেন। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। 

মমিনপুর চরের চাষি সাগর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর আমি প্রায় ৩০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ১০ একর জমির ফসল ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। ১০ একর জমির আংশিক তরমুজ বিক্রি করতে পেরেছি। গত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বাকি ১০ একর জমির তরমুজ আর বাঁচাতে পারব কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। কারণ গাছের পাতা মরে গিয়ে গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।

ভরিপাশার চর জাফরাবাজ এলাকার চাষি নিজাম হাওলাদার জানান, তিনিও প্রায় ২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ভাইরাস ও বৃষ্টির ভয়ে তিনি ছোট বড় সব ধরনের তরমুজ কেটে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। কোনো পাইকার নেই ক্ষেতে। এতে ন্যায্য মূল্যথেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা ফল বাঁচাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। বৃষ্টিতে গাছের মূলে পানি জমে যাওয়ায় গাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

এবিএস