অনিশ্চিত এক সময় পার করছেন পোশাকশ্রমিক নাফিজ ইমতিয়াজ (১৮)। সাত মাস ধরে ভাঙা হাত বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। মাত্র ২ লাখ টাকার অভাবে নাফিজের চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। অথচ দ্রুত অপারেশন করাতে না পারলে তার হাত কেটে ফেলতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবারের সদস্যরা।

নাফিজ ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা নেজাম উদ্দিন পেশায় একজন চা দোকানদার। নাফিজ ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

নাফিজের বাবা নেজাম উদ্দিন জানান, ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ঢাকার চিটাগাং রোড়ে দুর্ঘটনায় নাফিজের বাম হাতের কনুই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তখন থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাফিজ।

তিনি বলেন, নাফিজের অপারেশন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দুই লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অপারেশন সম্ভব না হলে তার হাতটি কেটে ফেলতে হবে। আমি গরিব মানুষ। চা বিক্রির টাকায় খাবারই জোটে না, ছেলের চিকিৎসা করাব কী দিয়ে। ধারদেনা ও আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় গত সাত মাস চিকিৎসা খরচ চালিয়েছি। কিন্তু কিছুতেই অপারেশনের টাকা জোগাড় করতে পারছি না।

এ বিষয়ে নাফিসের মামা মো. ইউনুছ বলেন, তার নিয়মিত চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। অপারেশনটা করাতে পারলে তার হাতটি রক্ষা পাবে। অন্যথায় সারাজীবনের জন্য অকেজো হয়ে পড়বে নাফিজ। তাকে সুস্থ করে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এবিএস