রাঙ্গামাটিতে বৈসাবির বর্ণিল শোভাযাত্রা
রাঙ্গামাটিতে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বৈসাবির বর্ণিল শোভাযাত্রা করা হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরেন।
এর আগে সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
বিজ্ঞাপন
রাঙ্গামাটি বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি শিশির চাকমা, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুসুম চাকমা, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রাঙ্গামাটির সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতিয়ার, সিএইচটির হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ভবতোষ দেওয়ান, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিজ্ঞাপন
বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, সাংক্রান, বিহু-২০২৩ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও আমরা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হলো। আগামী বুধবার ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে আমরা অনুষ্ঠানের ইতি টানবো। এবারের বৈসাবি উৎসব অন্যান্য বছরের তুলনায় আনন্দঘন হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া শেফালিকা চাকমা বলেন, আজ থেকে আমাদের বৈসাবি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। আগামী কয়েকটা দিন আমরা খুব আনন্দে কাটাবো। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা সকলে যেন সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারি নতুন বছরে এটাই কামনা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে পাহাড়িদের ঐহিত্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাঙ্গামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
মিশু মল্লিক/আরএআর