স্ত্রী ও ভাতিজার সহযোগিতায় প্রবাসীকে খুন
যশোরে সোহেল রানা (৪০) নামে এক প্রবাসীকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী মোছা. খুশি মিম (২২) ও ভাতিজা জিয়াদুল ইসলাম জিসানকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছেন তারা। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
নিহত সোহেল রানা সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের হালসা বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। গ্রেপ্তার মোছা. খুশি মিম একই ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের আব্দুল আলীমের মেয়ে। আর জিসান সোহেল রানার ভাই জাহিদুল ইসলাম রয়েলের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোহেল রানা তার স্ত্রীকে আনতে মোটরসাইকেল নিয়ে শ্বশুরবাড়ি আলমনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে মঠবাড়ী বুকভরা ভেড়ির রাস্তায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সোহেল রানার স্ত্রী খুশির প্রেমিক ফারাব্বি ও তার সহযোগীরা জিসানের সঙ্গে যোগসাজশ করে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এরপর সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। সোহেল রানাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শাকিল খান (২৯) বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
ওসি আরও জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নিহত সোহেল রানার স্ত্রী খুশি মিম ও ভাতিজা জিয়াদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে কোতোয়ালি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ভাতিজা জিসান হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিসান জানান- পারিবারিক কলহের জেরে জিসান প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য সোহেল রানার স্ত্রী খুশি মিমের প্রেমিক ফারাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করে সোহেল রানাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। জিসান হত্যাকাণ্ডের দিন সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় গোপনে ফারাব্বিকে জানান। ফারাব্বি পথিমধ্যে অজ্ঞাত সহযোগীদের নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকেন। পরে মঠবাড়ী ভেড়ির রাস্তায় পৌঁছালে নিরিবিলি এলাকায় গতিরোধ করে সোহেলকে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। ফারাব্বিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্ত।
এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর