কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনায় লুট হওয়া মালামাল ফেরত দিতে মাইকিং
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর ট্রেনের যাত্রীদের ছিনতাই করে নেওয়া মালামাল ফেরত দিতে মাইকিং করা হয়েছে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশন পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ছিনতাই করা মালামাল ফেরত দিতে আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় মাইকে বলতে শোনা গেছে, যারা যাত্রীদের মালামাল লুট করেছেন, দয়া করে সেগুলো ফেরত দিয়ে যাবেন। নতুবা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দেখে আপনাদেরকে শনাক্ত করে সেসব মাল উদ্ধার করা হবে। এটা রোজার মাস, আল্লাহকে ভয় করুন। মানুষ বিপদে পড়েছে, আপনি তাদের মালামাল লুট করতে পারেন না। আল্লাহকে ভয় করুন।
তবে কার কী মালামাল লুট হয়েছে এ বিষয়ে কোনো যাত্রীর বক্তব্য পাওয়া না গেলেও স্থানীয় কয়েকজন এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সোহান হোসেন নামের স্থানীয় এক যুবক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকট আওয়াজ হওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি অনেক মানুষ ট্রেনের বগির ভেতর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছু স্থানীয় মানুষ সেসব মানুষদের উদ্ধার করার বিপরীতে আটকা পড়া সেসব যাত্রীদের মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে দেখেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসে ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করতে দেখে কয়েকজনকে ধাওয়া দিই। পরে তারা ব্যাগ না নিয়েই পালিয়ে যায়।
যদিও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, পুলিশের একটি টহল টিম হাসানপুরের আশপাশে থাকায় ঘটনার পরপরই তারা আসে। থানা থেকে আরও কয়েকটি টিম কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যায়। তাদের উপস্থিতির ফলে যাত্রীদের মালামাল লুট হতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস নামক ট্রেন পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন ২০-৩০ জন যাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
আরিফ আজগর/ওএফ