চাঁদার দাবিতে কারখানা ম্যানেজারকে অবরুদ্ধ, আসামি আটক
খুলনার পথেরবাজারে একটি কারখানায় চাঁদা আনতে গিয়ে আটক হয়েছেন ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি জাফরিন। রোববার (১৬ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে দেন।
এর আগে জাফরিনসহ কয়েকজন কারখানার ম্যানেজারকে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে। আটক জাফরিন খান জাহান আলী থানাধীন হাসান শেখের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানার ম্যানেজার গোলাম সরওয়ার জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাফরিনসহ কয়েকজন কারখানার প্রধান ফটকে নিরাপত্তাকর্মীকে হুমকি-ধামকি দিয়ে জোর করে প্রবেশ করে। এরপর আমার অফিস কক্ষে সামনে এসে গালিগালাজ ও চেঁচামেচি করতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে আমি অন্য কক্ষে অবস্থান নেই। তারা পরে আমার বাসায় যায় এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। আমি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে জাফরিন মোবাইল কল করে চাঁদা দাবি করে।
তিনি বলেন, রোববার বিকেলে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে আমার নাম্বারে হুমকি দিয়ে ম্যাসেজ পাঠানো হয়। তাতে লেখা ছিল “আপনি খেলা শুরু করেছেন আমি শেষ করব ইনশাল্লাহ রেডি থাকেন।”
বিজ্ঞাপন
খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন খান বলেন, জাফরিন ঈদকে কেন্দ্র করে ম্যানেজারের নিকট চাঁদা দাবি করে। এরপর কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে দিলে সেখান থেকে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়। তবে তার অন্যান্য সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোহাম্মদ মিলন/আরকে